অসম্ভবকে সম্ভব


http://sarabela24.blogspot.com/
নাম দেখে বিভ্রান্ত হবেন না যেন! কারণ, মিশন: ইম্পসিবল (১৯৯৬), মিশন: ইম্পসিবল থ্রি (২০০৬), মিশন: ইম্পসিবল-গোস্ট প্রটোকল (২০১১) ছবিগুলোতে অসম্ভব কাজকে সম্ভব করেছেন টম ক্রুজ। তাই নামে কী আসে যায়, এটা কাঁধ ঝাঁকিয়ে, ভ্রু নাচিয়ে বলতেই পারেন তিনি! ৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের পাঁচ নম্বর ছবি মিশন: ইম্পসিবল-রোগ নেশন।

‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের ধারণাটা এসেছিল ১৯৮৮ সালে, একই নামের একটি টিভি সিরিজ থেকে। এই সিরিজের টুকরো প্রভাব ছিল ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের প্রথম ছবিতে। এই সিরিজের সব কটি ছবির নায়ক টম ক্রুজ। ছবিতে তিনি আইএমএফ এজেন্ট এথেন হান্ট। ছবির অন্যতম প্রযোজক তিনি। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সব কটি ছবিতেই আছেন টম, বদলে গেছে শুধু পরিচালক। মিশন: ইম্পসিবল-গোস্ট প্রটোকল ছবির গল্প যেখানে শেষ হয়, একেবারে সেই দৃশ্য থেকেই শুরু হয় মিশন: ইম্পসিবল-রোগ নেশন। এই ছবিতেও দেখা যায় এথেন হান্ট নতুন মিশনে নামছেন। তাঁর সঙ্গী বেনজি ডান (সায়মন পেগ)। এবারের ছবিতে আরও আছেন রেবেকা ফারগুসন। রহস্যময়ী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবির পরিচালক ডেভিড ম্যাককুয়ের নিজেই লিখেছেন চিত্রনাট্য। মিশন: ইম্পসিবল-রোগ নেশন মুক্তি পাওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে টম ক্রুজ বলেন, ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের ছয় নম্বর ছবির কাজ শুরু হয়ে গেছে। ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই মুক্তি পাবে এই ছবিটি।
মিশন: ইম্পসিবল-রোগ নেশন নিয়ে হইচই কিন্তু কম হয়নি। আর তার বেশির ভাগই ছিল ছবির গল্প নিয়ে। কিছুটা টম ক্রুজের সঙ্গে তাঁর সহকারী এমিলি থমাসকে নিয়ে। শোনা গিয়েছিল, এই ছবির সেটেই ৫৩ বছরের টম মন দিয়ে ফেলেছেন ২২ বছরের এমিলিকে। এমনকি শিগগিরই এমিলিকে বিয়ের প্রস্তাব দেবেন। এখন জানা যাচ্ছে, এসব রটনার পুরোটাই ছিল ছবিটি মুক্তির আগে প্রচারণার অংশ!
এই ছবি নিয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে টম ক্রুজকে। ছবির কাজ করতে গিয়ে তিনি ছয়বার আহত হয়েছেন। এই ছবির বেশির ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের কাজ করতে গিয়ে কোনো স্টান্ট ম্যানের সহযোগিতা নেননি তিনি। একই কাজ করেছেন সায়মন পেগও। ছবির একটি দৃশ্যে দেখা যায় মাটি থেকে প্রায় পাঁচ হাজার ফুট উঁচুতে একটি উড়োজাহাজের গা ধরে ঝুলে আছেন টম ক্রুজ। দৃশ্যটি বাস্তবসম্মত করে ফুটিয়ে তুলতে নাকি টম কাজটি নিজেই করেছেন।
চার বছর বিরতির পর এসেছে মিশন: ইম্পসিবল-রোগ নেশন। ছবিটি নিয়ে দর্শকদের মাঝে আগ্রহের কমতি ছিল না। দর্শকদের হতাশ করেননি নির্মাতারা। আকাঙ্ক্ষা পূরণে নতুন ছবিকে ১০০-তে ১০০ না দিলেও ৯০ সহজেই দেওয়া যায়। ১৫ কোটি ডলার বাজেটের মিশন: ইম্পসিবল-রোগ নেশন এরই মধ্যে আয় করেছে সাড়ে ১২ কোটি ডলার। ছবিটি নিয়ে প্রশংসা করেছেন সমালোচকেরাও। সবার মতে, এই ছবি দিয়ে টম আবারও প্রমাণ করেছেন, অ্যাকশন তারকা হিসেবে তিনি অদ্বিতীয়! ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজে অসম্ভবকে সম্ভব করা টম ক্রুজের কাজ!
Share on Google Plus

About Shara-Bela

"Shara-Bela" Is a online Blog Megazine.It Containes global entartaining and helful artical.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন