জনকল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী গবেষণা-সংস্থা পিউ ( PEW)’র এক গবেষণায়
জানানো হয়েছে, যেসব দেশে তেমন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম নেই বলে মনে করা
হয় সেসব দেশেও বাস্তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম রয়েছে। যেমন, জার্মানীতে
মুসলমানদের সংখ্যা লেবাননের মুসলমানদের চেয়েও বেশী। লিবিয়া ও জর্দানের
মুসলমানদের মোট সংখ্যার চেয়েও বেশী মুসলিম বসবাস করেন রাশিয়ায়। চীনের
মুসলমানদের সংখ্যা সিরিয়ার মুসলিমদের চেয়েও বেশী। আর ভারতের মুসলমানদের
সংখ্যা কেবল ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান ছাড়া অন্য যে কোনো দেশের মুসলমানদের
চেয়ে বেশী এবং দেশটির মুসলিম জনসংখ্যা মিশরের জনসংখ্যার দ্বিগুণ।
এ গবেষণা-প্রকল্পের সহকারী নির্বাহী পরিচালক এ্যালান কুপারম্যান বলেছেন, বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই এটা মনে করেন যে, ইউরোপের মুসলমানরা বহিরাগত বা মুহাজির। কিন্তু পূর্ব ইউরোপের মুসলমানরা অভিবাসী নয় এবং গোটা ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যার অর্ধেকই স্থানীয়।
এ গবেষণা-প্রকল্পের সহকারী নির্বাহী পরিচালক এ্যালান কুপারম্যান বলেছেন, বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই এটা মনে করেন যে, ইউরোপের মুসলমানরা বহিরাগত বা মুহাজির। কিন্তু পূর্ব ইউরোপের মুসলমানরা অভিবাসী নয় এবং গোটা ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যার অর্ধেকই স্থানীয়।
পিউ ( PEW)’র রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের মোট সংখ্যা
১৫৭ কোটি। তাদের শতকরা ৬১ দশমিক নয় ভাগ বসবাস করে এশিয়া ও প্রশান্ত
মহাসাগরীয় অঞ্চলে, শতকরা বিশ দশমিক এক ভাগ মধ্যপ্রাচ্যে ও উত্তর-আফ্রিকায়,
কেবল আফ্রিকা মহাদেশে শতকরা ১৫ দশমিক তিন ভাগ, শতকরা দুই দশমিক চারভাগ
ইউরোপে এবং দশমিক তিন ভাগ বসবাস করে আমেরিকা মহাদেশে। বিশ্বের মুসলমানদের
শতকরা দশ থেকে ১৩ ভাগ শিয়া মুসলমান এবং বাদ-বাকী সুন্নী মুসলিম। অধিকাংশ
শিয়া মুসলমান বসবাস করে ইরান, ভারত, পাকিস্তান ও ইরাকে।
পিউ ( PEW)’র রিপোর্ট অনুযায়ী, আফ্রিকার মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২৪ কোটি,
ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যা তিন কোটি ৮০ লক্ষ ও আমেরিকা মহাদেশের মুসলিম
জনসংখ্যা ৪৬ লক্ষ। আমেরিকা মহাদেশের মুসলিম জনসংখ্যার অর্ধেকই বসবাস করেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
পিউ ( PEW)’র এ গবেষণায় অংশ নিয়েছেন ২৩২ টি দেশের গবেষক ও তথ্য-সংগ্রহকারী। এ গবেষণা-প্রকল্প সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে তিন বছর। আদমশুমারিসহ ১৫০০ তথ্য-সূত্র কাজে লাগানো হয়েছে এ গবেষণা-প্রকল্পে। এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল ২০০৯ সালের সাতই অক্টোবর। পিউ ( PEW) অন্য ধর্মগুলোর ব্যাপারেও একই ধরনের গবেষণা চালানোর চিন্তাভাবনা করছে।
পিউ ( PEW)’র এ গবেষণায় অংশ নিয়েছেন ২৩২ টি দেশের গবেষক ও তথ্য-সংগ্রহকারী। এ গবেষণা-প্রকল্প সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে তিন বছর। আদমশুমারিসহ ১৫০০ তথ্য-সূত্র কাজে লাগানো হয়েছে এ গবেষণা-প্রকল্পে। এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল ২০০৯ সালের সাতই অক্টোবর। পিউ ( PEW) অন্য ধর্মগুলোর ব্যাপারেও একই ধরনের গবেষণা চালানোর চিন্তাভাবনা করছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন