সফল
মানুষ
অনেক রকমের হয়, অনেক কাজের হয়। কেউ হয়তো
গায়ক হিসেবে সফল, তো কেউ ব্যবসায়ী হিসেবে। কেউ অভিনয়ে
সফল, কেউ
খেলায়। তবে যে যেখান থেকে যে ভাবেই সফল হন না কেন, খুব অল্প
বয়সে সাফল্যের সিঁড়িতে পা রেখেছেন এমন প্রায় সকলের মাঝেই এমন কিছু সাধারণ ব্যাপার
ছিল যেখানটায় এসে তারা প্রত্যেকে একভাবেই কাজ করতেন। একইভাবে
চিন্তা করতেন ও সিদ্ধান্ত নিতেন। প্রত্যেকটি
সফল মানুষের
ভেতরেই খুঁজে পাওয়া যাবে বিশেষ এই জায়গাগুলোতে মিলের নিদর্শন। আজকের এই ফিচারে দেয়া হল এরকম সাধারণ কিছু ব্যাপার যেগুলো
অনুসরণ করেছেন কম বয়সে সব সফল মানুষেরাই। যে
জায়গাগুলোতে তারা সবাই ছিলেন এক। হয়তো এই
ব্যাপারগুলোই
তাঁদেরকে এত কম বয়সে সাফল্যের মুখ দেখিয়েছে।
সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে নতুন কিছু ভেবেছেন
স্টিভ
জবস,মার্ক
জাকারবার্গ কিংবা এলিজাবেথ হোলমস- যার কথাই বলা হোক না কেন এদের
ভেতরে একটা ব্যাপার চাইলেই নজরে পড়বে যে এদের কেউই কিন্তু সমাজের বেঁধে দেওয়া
একমাত্র ও ঠিক পথটাই বেছে নেন নি। যেটা করা
নিয়ম সেটার দিকে মন না দিয়ে তারা নতুন কিছু করতে চেয়েছেন। অনুকরণ
না করে নতুন করে ভাবতে চেয়েছেন। পেরিয়ে
গিয়েছেন নিজেদের সীমাবদ্ধতাকে।
হার না মেনে এগিয়ে গিয়েছেন
ব্রুস
লী যখন নিজের চলা শুরু করেছিলেন তখন ব্যাপারটা এত সহজ ছিল না তার জন্যে। কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য্যের দরকার ছিল। অনেন
আরো মানুষের মতন অনেক সম্পদ হয়তো অর্জন করেননি তিনি, কিন্তু মানুষের মনে জায়গা করে
নিয়েছেন। দেখিয়ে
দিয়েছেন শরীরের শিল্প কি জিনিস! আর তাই কঠিন সময়গুলোতে হেরে না গিয়ে এগিয়ে যেতে
হবে। কারণ সফল মানুষেরা কষ্টের সময়গুলোতে থেমে না গিয়ে মনে আশা
রেখে
সামনে এগিয়ে চলেন। আর এভাবেই কাটিয়ে ওঠেন সব বাঁধাকে।
সৃষ্টিশীল চিন্তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন
জোনাথন
কোনের দিকে একবার চেয়ে দেখুন। একদম ছোট্ট
থেকেই গাড়ির প্রতি আলাদা আকর্ষণ ছিল ছেলেটার। কিশের
বয়সেই তাই নিজের মতন গাড়ির নকশা করতে শুরু করেন তিনি। আর
এবাবেই হয়ে ওঠেন অনেক বড় একজন নকশাকার। সফল মানুষেরা
সবসময় কোন
আলাদা কিছু করার আগ্রহ থেকে কাজে নামেন না। তারা কাজ
করেন তাদের ভেতরের ক্ষুধাকে মেটানোর জন্যে। নিজেদের
ভালোলাগাকে পুষে রেখে, যত্ন করে বড় করেন তারা। আর
এভাবেই খুব সহজে জায়গা করে নেন সফলদের কাতারে।
মানুষের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়েছেন
ভিডিও
গেমকে অন্যরকম একটা মাত্রা দেওয়া ফেলিক্স আরভিড উরফ জেলবার্গ এ. কে. এ. পিউডাইপাইকে
কেউই পছন্দ করত না তার বাচ্চামানুষী ভঙ্গী আর আচরণের কারণে। সারাটাক্ষণ ধরে খেলা নিয়ে মেতে থাকতেন তিনি। তাও ভিডিও গেম! কিন্তু তাও নিজের জায়গা থেকে সরে আসেননি
ফেলিক্স। কারণ, আর কেউ না পছন্দ করলেও এভাবেই তিনি
বুঝতে পারতেন মানুষ কী চায়। সফলেরা এই
একটা ব্যাপারে কেবল সেটাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন যেটা তার সামনের মানুসেরা তার
পছন্দ করে।
কষ্টকে শক্তি করে নিয়েছেন
সফলেরা
নিজেদের কষ্টকে দুর্বলতা না বানিয়ে সেটাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তিতে
পরিণত করেন। এলিজাবেথ হোমস তার মানবতার সেবার শক্তি
পেয়েছিলেন চাচার
মারা যাওয়ার কষ্ট থেকে। মানুষকে বাঁচানোর তাগিদে
চিকিত্সাশাস্ত্রে অভাবনীয় অবদান রাখেন তিনি পুরো শরীরে রোগ নির্ণয়ের যন্ত্র
আবিষ্কার করে। হয়ে যান
কোটিপতি!
নিজেদের লক্ষ্যকে বাস্তবতা দিতে চেয়েছেন
প্রত্যেক
সফল মানুষেরই একটা লক্ষ্য থাকে। যেটার জন্যে
ভেতর থেকে তাগিদ অনুভব করেই তারা তৈরি করেন নতুন কিছু। হয়ে
ওঠেন সফল। এই যেমন মার্ক জাকারবার্গ! মার্কের
ইচ্ছে ছিল একটা জায়গা বানাবার, যেখানে সবাই সবার সাথে কথা বলতে
পারে, যোগাযোগ
করতে পারে, পরিচিত
হতে পারে। আর এই স্বপ্নকে বাস্তাএ
রুপান্তর করতেই ফেসবুকের জন্ম দেন তিনি। কাজটা কঠিন
ছিল। তবে স্বপ্নটা বাস্তব করার তাগিদটাও ছিল অপরিসীম।
তথ্যসূত্র-
People Who Become Highly Successful In Their 20s Have These 6 Mindsets In Common- lifehack.org
People Who Become Highly Successful In Their 20s Have These 6 Mindsets In Common- lifehack.org
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন