আধুনিক
যুগে
আগের মতো চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠানে ডাকযোগে বা নিজে গিয়ে সিভি দেয়ার বিষয়টি
একেবারেই কমে গিয়েছে। বর্তমানে সরকারী চাকুরী বাদে প্রায়
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই
অনলাইনে চাকুরীর বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন এবং অনলাইনেই সিভি প্রদানের
ব্যবস্থা করেন। কিন্তু অনলাইলে চাকুরী খোঁজার ব্যাপারে
বেশীরভাগ প্রার্থীই
অনেকগুলো ভুল করে থাকেন যার ফলে পুরো পরিশ্রমই বৃথা চলে যায়। তাই
অনলাইনে
চাকুরী খোঁজার ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া উচিত সকলের এবং এড়িয়ে চলা উচিত বড়
প্রভাবের ছোট্ট কিছু ভুল।
১) ফর্মাল না হওয়া
আমরা
অনলাইনে বেশীরভাগ সময় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে কাটিয়ে থাকি। এবং বন্ধুদের সাথে অবশ্যই ফর্মাল
কথাবার্তা বলি না। এই অভ্যাসটি অনেকে চাকুরী
খোঁজার ক্ষেত্রেও দূর করতে পারেন না। কিন্তু
ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাগত জীবন পুরোপুরি আলাদা। তাই
অনলাইনে চাকুরী খোঁজা এবং প্রতিষ্ঠানে আপ্লাই করার সময় যতোটা সম্ভব ফর্মাল
হওয়ার চেষ্টা করুন।
২) যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সিভি দেয়া
অনেকেই
আছেন চাকুরীর সকল বিষয় পছন্দ হলে, চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা
অনুযায়ী যোগ্যতা না থাকলেও সিভি দিয়ে থাকেন। কিন্তু মনে
রাখবেন, এতে
আপনি
বরং তাদের মনে নিজেকে অপেশাদার প্রার্থী হিসেবেই উপস্থাপন করছেন।
৩) অনেক বড় আকারের সিভি
আপনি
অনেক বড় সিভি তৈরি করে অনলাইনে পাঠিয়ে দিয়ে ভাববেন না অনেক বুদ্ধিমানের
কাজ করেছেন, কারণ
এই কাজটিও বিরক্তির সৃষ্টি করে থাকে। আপনার
এতো বড়
সিভি পড়ে দেখার সময় নেই কারো। আপনার সিভি
অবশ্যই স্ট্যান্ডার্ড হতে হবে এবং অল্প কথায় সকল তথ্য প্রদানের বুদ্ধি রাখতে হবে আপনাকেই।
৪) কভার লেটার ছাড়াই সিভি পাঠানো
ইমেইলে
যখন আপনি সিভি পাঠিয়ে থাকেন তখন আপনি কি শুধুই সিভি পাঠান? তাহলে
জেনে
রাখুন এটি অনেক বড় ভুল কাজ। কভার লেটার
ব্যতীত সিভি পাঠানো উচিত নয় একেবারেই। কারণ
প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার পাঠানো কভার লেটারটিই সিভি পড়ে দেখার আগ্রহ
জাগিয়ে তুলবে।
৫) খোঁজ খবর না রাখা
একবার
সিভি পাঠিয়ে বা ইমেইল করে মাসখানেক কোনো খোঁজ না রাখা খুবই ভুল একটি কাজ। হতে পারে এই একমাসের মধ্যেই আপনি আপনার সুবর্ণ সুযোগটি হাত
ছাড়া করে
ফেলেছেন। তাই নিয়মিত খোঁজ খবর রাখুন।
সূত্র
feminiya
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন